মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে কি কারো জনপ্রিয়তা নষ্ট করা যায়?
ডেস্ক রিপোর্টঃ গতকাল জাগো নিউজ একটি সংবাদ প্রকাশ করে ” দখল-চাঁদাবাজিসহ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে প্রধান উপদেষ্টাকে ৭ অভিযোগ” শিরোনামে। এই সংবাদের পরতে পরতে মিথ্যাচার করা হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে সত্যতার লেশমাত্র নেই। বৃহত্তর উত্তরা থানা যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বর্তমান উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপির সদস্য সচিব গত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পুরো আমল জুড়েই ছিলেন নির্যাতিত , ১০০ এর উপরে মামলার আসামি হয়েছেন, জেল খেটেছেন বারংবার। আওয়ামী সন্ত্রাসি ও পুলিশ তার বাসায় হামলা করে ভাংচুর করেছে , কেড়ে নিয়েছে তার ব্যবসা বানিজ্য। তার বাসায় হামলা ও ভাংচুরের জেরে তার মা স্টোক করে মারা গেছেন। এত কিছুর পরেও আজমল হুদা মিঠু রাজপথে সরব ছিলেন পুরোটা সময়। গত ১৫ বছরের দলের প্রয়োজনে দলঅন্ত প্রান কর্মী বাহিনী নিয়ে প্রতিটি পোগ্রামে তার উপস্থিতি ছিলো চোখে পরার মত।
এস এম জাহাংগীর হোসেনের দূরদর্শী নেতৃত্বে আন্দোলন সংগ্রাম করে আওয়ামী স্বৈরাচার বিদায়ে উত্তরায় যে কজন সিপাহসালার ছিলেন তাদের মধ্য অন্যতম এই আজমল হুদা মিঠু। ২৪ এর স্বাধীনতা আন্দোলনে জীবন বাজি রেখে ছাত্র জনতার পাশে ছিলেন ঠায় দাঁড়িয়ে। নিজ অর্থায়নে ছাত্র জনতার মাঝে প্রতিদিন বিলিয়েছেন খাবার পানি। স্বাধীনতার পরে দেশনায়ক তারেক রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে উত্তরায় যেনো অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সেদিকে রেখেছেন সজাগ দৃষ্টি, নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে রাতভর দিয়েছেন সতর্ক পাহারা। দলীয় লোকজন যেনো প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে কারো ক্ষতি করলে না পারে বা সম্পদ দখলে না নেয় তা নিয়ে সবাইকে সতর্ক করেছেন বারংবার। নিজেও কারো বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেন নাই যদিও উত্তরা আওয়ামিলীগের নেতাদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ ছিলেন তিনি।
তিনি উত্তরার কোন ক্লাব দখলে নিয়েছেন তা সম্পূর্ণ অসত্য অভিযোগ। গাড়ীর ব্যাপারে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা পুরোটাই বানোয়াট, তিনি গাড়ীটি আরো ৪ মাস আগেই কিনেছেন, কিন্তু এই গাড়ী জাপান আওয়ামীলীগের সভাপতি বাদল শেখের না তিনি এক ব্যাবসায়ীর থেকে কিনেছেন।। আর রাজউক কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স এর মোবাইল মার্কেট এর তিনি একজন মালিক, এখানের কারো দোকান বন্ধ করে দেয়া বা দখলে নেয়ার যে অভিযোগ সংবাদে করা করা হয়েছে মার্কেট ম্যানেজার ও ব্যবসায়িরা আমাদের জানিয়েছেন এসব আজগুবি অভিযোগ।
উত্তরা বিএনপির এক নেতা আমাদের প্রতিনিধি কে বলেন উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপির রানিং কমিটি আন্দোলন সংগ্রামে সরব ছিলো, যারা এই সুদীর্ঘ সময় রাজপথে ছিলোনা তারাই স্বাধীনতার পরে এসে বিভিন্ন সাংবাদিক কে টাকা খাইয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে বর্তামান কমিটির নেতাদের বদনাম করে বিতর্কিত করে ফায়দা লোটার অপচেস্টা করছে। এসব করে কোন লাভ হবেনা। এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, আজমল হুদা মিঠু সহ এই নেতারা উত্তরা অঞ্চলের জনপ্রিয় নেতা, জনগন তাদের ভালো ভাবেই চেনে।
ভয়েস অফ ঢাকা ১৮ – সকল সংবাদ একসাথে